ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উজানের ঢলে ফুঁসছে রামু বাঁকখালী : বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত মানুষ

১৪খালেদ হোসেন টাপু,রামু :::

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সাজারের রামু বাঁকখালী নদীর পানি মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে বিপদসীমা ছুই ছুই করছে। সকাল থেকে বাঁকখালীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। এদিকে তীরবর্তী গ্রামের শত শত বসত পরিবার চরম আতংকে রয়েছেন। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি ঢুকে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন এবং অবিরাম বর্ষণে রামু সদরে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৪জুলাই) রাত ১ টার পর থেকে বাঁকখালী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬.৩৮ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রামুর বাঁকখালীর গ্যাজ রিডার মোঃ রুহুল আমিন জানিয়েছেন। সেই থেকে এ মাত্রা আশংকাজনক হারে বাড়ছে।

এদিকে রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সুত্র মতে পানি বৃদ্ধির কারনে গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, ফতেখাঁরকুল, রাজারকুল, খুনিয়া পালং, মিঠাছড়ি, চাকমারকুল, জোয়ারিয়ানালা, রশিদ নগর ও ঈদগড় ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তা ছাড়া ¯্রােতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় ভেঙে যাচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। অনেকস্থানে উঁচু সড়কের উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে ¯্রােত এতে ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। ভেঙে পড়ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। এতে সর্বস্ব হারাতে হচ্ছে কৃষককে।

কাউয়ারখোপ মনিরঝিল এলাকার শাহেদুল ইসলাম শাহেদ জানান, প্রবল বৃষ্টিতে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনির ঝিল, পূর্ব পাড়া, ও পশ্চিম কাউয়ারখোপ এলাকায় বন্যা প্লাবিত হচ্ছে এবং যোগাযোগ সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পাঠকের মতামত: